নেশা পান করা কর্ম ফল
নেশা পান করা কর্ম ফল
প্রাণিহত্যা, চুরি, ব্যভিচার,
মিথ্যা বাক্য ও নেশা পান এই পাঁচটি শীলের মধ্যে ‘নেশা পান’ শীল ভঙ্গ করা অত্যধিক
দোষ যুক্ত। তাহার কারণ, নেশা পান করিলে
মানুষেরা উন্মাদ গ্রস্ত হয়, হিতা হিত জ্ঞান শূন্য হয় তদ্বারা আর্য ধর্মের অন্তরায় হয়। নেশা পানে অতি হীন, নীচ, নিকৃষ্ট ও নিন্দনীয়
কাজ, আর পাপ কর্মও বটে। নেশা স্বীয় জীবনে, পরিবারে, সমাজে ও দেশের বহু ক্ষতি সাধন
করিয় থাকে এবং নানা প্রকার বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করে। নেশা পায়ী ব্যক্তির ইহ জীবনে উন্নতি লাভ করা
সুদূর পরাহত। পারত্রিক জীবনও তাহারা ধ্বংস করিয়া থাকে। মতাই ইহ পারত্রিক জীবন উন্নতির জন্য অবশ্যই নেশা
পান বর্জনীয়।
আরো দেখুন: পঞ্চগতি
আরো দেখুন: মিথ্যা বলার কর্ম ফল
নেশা পান করা কর্ম ফল |
নেশা পানের কুফল এই জগতে
যাহারা সুরা পান করে, সুরা পানে মত্ত হয়, তাহারা মৃত্যুর পর নরকে উৎপন্ন হয়। অষ্টবিংশতি কল্প কাল কাগ্নিতে দগ্ধ হইয়া নরকের
যন্ত্রণা ভোগ করে। পাচশত জন্ম যক্ষ, পচিশত
জন্ম কুক্কুর হইয়া জন্ম গ্রহণ করে। এভাবে
নরক, তির্যক ও প্রেতলোকে উৎপন্ন হইয়া ভীষণ দুঃখ যন্ত্রণা ভোগ করে। নেশা পায়ী ইহ কালে প্রত্যক্ষ ভাবে ও পর কালে
নরকে নানা প্রকার দুঃখ ভোগ করে। নেশা পায়ী
পাপী মনুষ্য লোকে জন্ম হইলে বহু জন্ম পাগল ও উন্মত্ত হইয়া জন্ম হয়। তাহারা জনে জনে ক্ষিপ্ত চিত্ত হইয়া পাগলা
কুকুরের ন্যায় শুচি অশুচি, ভালো মন্দ, সত্য মিথ্যা বিচার করিতে পারে না, জ্ঞান হীন
হয়।
বর্তমানে আমরা রাস্তা ঘাটে যেই
সকল উন্মত্ত (পাগল) মানুষ দেখিতে পাই, তাহারা অতীত জনন্মে নেশা পান করিয়া ছিল, সেই
পাপের ফলে বর্তমানে পাগল হইয়া জন্ম গ্রহণ করিয়াছে। এই সকল লোক গৌরবান্বিত ব্যক্তিকে গৌরব করে না;
আত্মীয় অনাত্মীয় সকলের প্রতি অসংযত এবং জ্ঞান বুদ্ধিহীন হয়। নেশা পায়ী পাপী জন্মে জন্মে বিদ্যা মেধা বুদ্ধি
হীন দুর্বল হয়। অতীতের নেশা পান জনিত পাপের ফলে বর্তমান জন্মে স্মৃতি জ্ঞান দুর্বল
হয়, তাহারা বারং বার বিস্মৃত হয়, ঘন ঘন ভুলিয় যায়, স্মৃতি রাখিতে পারে না, তাহারা
শিক্ষা জীবনেও উন্নতি লাভ করিতে পারে না।
মাতা পিতা তাহাদের পিছনে বহু
টাকা ব্যয় করিলেও ছেলেকে উচ্চ শিক্ষত করাইতে পারে না। ইহা অতীতের নেশা সেনের পাপের ফল। তাহারা জন্মে জন্মে লজ্জা ও ভয় হীন হয়, পাপ কাজ
করিতে লজ্জা ও ভয় করে না, যে কোনো খারাপ কাজ তাহাদের দ্বারা সাধিত হয়। নেশা পায়ীরা প্রমত্ত, জ্ঞান হীন, শঠ (প্রবঞ্চক),
লোভ, দ্বেষ ও মোহ গ্রস্ত হয় তাহার পূণ্য কর্মের
সংস্পর্শে থাকে না, ফলে ধর্ম জ্ঞানও থাকে না। নেশা পায়ী নর নারী উলঙ্গ ও নীচু স্বভাব সম্পন্ন হয়। নেশা পায়ী ব্যক্তির অন্য শীল গুলিও ভঙ্গ করিতে দ্বিধা বোধ
করে না, অর্থের অপচয় করিতেও কুষ্ঠিত হয় না।
ঈর্ষা, হিংসা ও ক্রোধ পরায়ণ হয়;
কুশল কর্মে অনীহা, দানে কৃপণতা ও অক্ষম হয়। অকুশল কর্মে উৎসাহী হয়; বিনয় হীন, নির্দয়,
নিষ্ঠুর, কর্কশ ও বদমে জাজী হয়; ইহাতে তাহারা লোকের নিন্দনীয় হয়। রাজা, শ্ৰেষ্ঠী, ধনী হইলেও অন্তরে শান্তি থাকে
না, সর্বদা দাহ পরি দাহ, জ্বালা যন্ত্রণায় দিন কাটায়। অন্যান্য শীলের চেয়ে এই শীল ভঙ্গ করা অতিশয় দূষ
ণীয়; ইহাতে মহা পাপ হয়। নেশা পায়ী এই শীল
ভঙ্গ করিয়া অনন্ত দুঃখ ভোগের পথ প্রশস্ত করে। নেশা সেবনের কুফল বা নেশা সেবনের দোষ সম্বন্ধে অতীতের
একটি বাস্তব কাহিনি এখানে করা হইল।
শান্তা জেনে অস্থিতি কালে অনাথ
পিণ্ডদের এক ভাগি নেয়কে লক্ষ করিয়া এই কাহিনি বলিয়া ছিলেন। এই ব্যক্তি নাকি মাতা
পিতাম নিকট হইতে চল্লিশ কোটি সুবর্ণ পাইয়া তাহার সমস্তই পান ব্যসনে (মদ্য পানে) নষ্ট
করিয়া ছিল এবং শেষে রিক্ত হস্তে মাতলের নিকট উপস্থিত হইয়া ছিল অনাথ পিণ্ডদ তাহাকে
এক সহস্র সুবর্ণ দিয়া বলিলেন, “তুমি কি ইহা দ্বারা ব্যবসা করিয়া আয় উন্নতি কর। ”
কিন্তু দুর্বুদ্ধি সম্পন্ন যুবক তাহাও উড়াইয়া দিল এবং পুনর্বার মাতুলের নিকট
সাহায্য প্রার্থী হইল।অনাথপিণ্ডদ এই বার
তাহাকে পঞ্চশত সুবর্ণ দিলেন। যুবক তাহাও নষ্ট করিয়া আসিলে অনাথপিণ্ডদ তাহাকে দুই
খানি স্থুল বস্ত্র দান করিলেন।
পানব্যসেন সে তাহাও বিক্রয়
করিল। কিন্তু শেষে যখন অনাথপিণ্ডদের নিকট
গেল, তপন তিনি তাহাকে অর্ধচন্দ্র (গলাধাক্কা) দিয়া গৃহ হইতে বিতাড়িত করিলেন। হত
ভাগ্য ও নিতান্ত অসহায় অবস্থায় সে অন্যের গৃহের প্রাচীরের বাহিরে প্রাণ ত্যাগ
করিল। লোকে তাহাকে টানিয়া বাহিরে আনিয়া
দূরে ফেলিয়া দিল। অনাথপিণ্ডদ বিহারে গিয়া শাস্তার নিকট ভাগিনেয়ের সমস্ত কাহিনি
বর্ণনা করিলেন। তাহা শুনিয়া শাস্তা
বলিলেন, “যাহাকে আমি পুরা কালে সর্ব কামদ কুম্ভ দিয়াও পরিতৃপ্ত করিতে পারিনাই,
তাহাকে তুমি কী রূপে তৃপ্ত করিতে পারিবে?” অনন্তর অনাথপিণ্ডদের প্রার্থনা নুসারে
তিনি সেই অতীত বৃত্তান্ত বলিতে লাগিলেন। পুরা
কালে বারাণ সীরাজ ব্ৰহ্ম দত্তের সময় বোধিসত্ত্ব শ্রেষ্ঠী কুলে জন্ম গ্রহণ করিয়া ছিলেন
এবং পিতার মৃত্যুর পর নিজেই শ্ৰেষ্ঠী পদ প্রাপ্ত হইয়া ছিলেন। তাঁহার গৃহে চল্লিশ
কোটি ধন ভূগর্ভে নিহিত ছিল।
বোধিসত্ত্বের একটি মাত্র পুত্র
ছিল। বোধিসত্ত্ব দানাদি পুণ্য কর্ম করিয়া
মৃত্যুর পর শত্রু ত্ব (ইন্দ্র রাজ) জন্ম লাভ পূর্বক দেবতা দিগের রাজা হইলেন। এই দিকে
সেই পুত্র রাজ পথের উপর এক মণ্ডপ নির্মাণ করিল এবং বহু নর্ম সহচরে (ক্রীড়া সঙ্গী)
পরিবৃত হইয়া সেখানে বসিয়া সুরা পানে প্রবৃত্ত হইল। সে লঙঘন নর্তক, ধাবক, গায়ক, নট প্রভৃতিকে সহস্র
সহস্র মুদ্রা দিতে লাগিল। স্ত্রী, মদ্য ও
মাংসে অত্যন্ত আসক্ত হইল। অবিরত কোথায়
গীত, কোথায় নৃত্য, কোথায় বাদ্য, ইহাই কেবল উন্মত্তের ন্যায় খুঁজিয়া বেড়াইতে
লাগিল। তজ্জন্য অচিরেই সেই চল্লিশ কোটি ধন এবং অন্যান্য সমস্ত সম্পত্তি ও গৃহো পকরণ
নিঃশেষ করিল এবং নিতান্ত দুর্দশা পন্ন হইয়া শত চ্ছিন্ন বস্ত্র পরিধান পূর্বক বিচরণ
করিতে লাগিল।
শক্র এক দিন চিন্তা করিয়া
তাহার দুর্দশা জানিতে পারিলেন এবং পুত্র স্নেহের কারণে তাহার নিকট উপস্থিত হইয়া
একটি সর্ব কামদ ঘট প্রদান পূর্বক বলিলেন, ‘বৎস, এই ঘটটিকে সাব ধানে রাখিবে যেন
ভাঙ্গিয়া না যায়। ইহা যত দিন তোমার নিকট
অক্ষত থাকিবে ততদিন তোমার ধনের অভাব
হইবে না। দেখিও, ইহার রক্ষা সম্বন্ধে যেন কোন
ত্রু টি না হয়। পুত্রকে এই উপদেশ দিয়া
শক্র দেবলোকে প্রতি গমন করিলেন। ইহার পর
বোধিসত্ত্বের পুত্র দিবা রাত্র মদ খাইয়া ভেড়াইতে লাগিল। অনন্তর এক দিন উন্মত্ত অবস্থায় সে ঐ ঘটটি বার
বার উর্ধ্বে ছাড়িয়া ধরিতে লাগিল। কিন্তু
এক বার সে ধরিতে পারিল না, কাজেই ঘটটি মাটিতে পডিয়া ভাঙ্গিয়া গেল। তখন সে পুন বার যেই দরিদ্র, সেই দরিদ্রই
হইল।
শত গ্রন্থি যুক্ত বস্ত্র
পরিধান পূর্বক ভগ্ন মৃৎপাত্র হস্তে ভিক্ষা করিতে লাগিল এবং শেষে কোনো এক ব্যক্তির
প্রাচীর পার্শ্বে পড়িয়া প্রাণত্যাগ করিল।
শাস্ত এই রূপে অতীত কথা সমাপন পূর্বক অভি সম্বুদ্ধ হইয়া নিম্নলিখিত গাথা
তিনটি বলিলেন।
সর্ব কাম প্রদ কুম্ভ পেয়ে
ধূর্ত যত দিন,
করেছিল রক্ষা সযতনে।
ভুঞ্জি নানা বিধ সুখ,
কাটাইল ততদিন।
অত্যাসক্ত যদিও ব্যসনে,
কিন্তু দৰ্পে মত্ততায়।
ভাঙ্গি সেই ঘট হায়,
পায় মূখ অশেষ যাতনা।
নাহি বস্ত্র পরিবার,
পেটে ভাত নাই তার।
ফাটে বুক দেখি বিড়ম্বনা,
মূখ জন লব্ধধন অমিত ব্যয়ের
দোষে।
মুহূর্তেতে নিঃশেষ করিয়া,
ভুঞ্জে নানা দুঃখ শেষে।
ভুঞ্জিল ধূর্তক যথা,
কাম প্রদ কুম্ভেরে ভাঙ্গিয়া।
নেশা মানব জীবনকে যেই ভাবে
ক্ষতি সাধন করে এবং ধ্বংসের নিয়া যায়, তাহার উদাহরণ স্বরূপ আরও একটি আখ্যানের
অবতারণা করা হইতেছে। পুরা কালে
বারাণসীতে ব্রহ্মদত্ত নামে এক রাজা ছিলেন। তিনি খুবই সুরাসক্ত ও মাংসা সক্ত ছিলেন। কিছুতেই মদ্য পান বিনা থাকিতেন না, মাংস
বিনা আহার করিতে পারিতেন না। তখন বারাণসীতে
উপোসথ দিনে পশু বধ নিষিদ্ধ ছিল। এই জন্য
রাজার পাচক শুক্ল পক্ষের চতুর্দশীর দিন কিছু মাংস সংগ্রহ করিয়া রাখিয়া ছিল; কিন্তু
রাখিবার অসাব ধানতা বশত কুকুরে ঐ মাংস
খাইয়া ফেলিল।
উপোসথ দিবসে পাচক দেখিল মাংস
নাই। কাজেই অন্যান্য দিন যেমন নানা বিধ
উৎকৃষ্ট খাদ্য প্রস্তুত করিয়া প্রাসাদে গিয়া থাকে, সেই দিন সেই রূপ করিবার উপায়
দেখিল না। সে রাণীর নিকট গিয়া বলিল,
“দেবী, আজ মাংস পাই লাম না; রাজার সম্মুখে মাংস হীন খাদ্যও লইয়া যাইতে সাহস হইতেছে
না; বলুন এখন আমি করি কী?” রাণী বলিলেন, “দেখ বাপু, রাজা আমার ছেলেটিকে বড় ভালো বাসেন;
তাহাকে দেখিলে চুম্বন ও আলিঙ্গন করিবার সময় তিনি নিজের অস্তিত্ব পর্যন্ত ভুলিয়া যান। আমি তাহাকে সাজাইয়া রাজার কোলে দিব; তিনি তাহার
সঙ্গে খেলা করিতে থাকি বেন। সেই সময়ে তুমি
খাদ্য লইয়া উপস্থিত হইবে। ”
অনন্তর রাণী পুত্রটিকে। সুন্দর রূপে সাজাইয়া রাজার কোলে দিয়া আসিলেন এবং
রাজা তাহার সঙ্গে ক্রীড়ায় প্রবৃত্ত হইলে পাচক খাদ্য লইয়া উপস্থিত হইল। রাজা তখন সূরা
মদে মত্ত ছিলেন; পাত্রে মাংস দেখিতে না পাইয়া চিৎকার করিয়া। উঠিলেন, “মাংস কোথায়?” পাচক বলিল, “মহা রাজ, অদ্য
উপোসথ দিন; পশু বধ করিবার নিয়ম নাই বলিয়া মাংস সংগ্রহ করিতে পারি নাই। ” “বটে, আমার
খাবারের জন্য মাংস দুর্লভ!” ইহা বলিয়া রাজা
ক্রোড় স্থিত পুত্রের ঘাড় ভাঙ্গিয়া তাহাকে মারিয়া ফেলিলেন, এবং পাচ কের সম্মুখে ফেলিয়া
দিয়া বলিলেন, “যা, এখনই পাক করিয়া আন। ” পাচক তাহাই করিল।
তখন রাজা পুত্রের রাজা
জিজ্ঞাসা করিলেন, “ভদ্রে, কাঁদিতেছ কেন বলো?” তিনি বলিলেন, “মহারাজ, আপনি গতকল্য
পুত্রের প্রাণ সংহার করিয়া তাহার মাংস দিয়া অন্ন গ্রহণ করিয়াছেন। ” তখন রাজা পুত্র
শোকে বহু রোদন ও বিলাপ রিলেন। রাজা বুঝিতে
পারিলেন সুরা পানই তাহার সর্ব নাশের মূল। অনন্তর রাজা ছাই লইয়া মুখে ঘসিয়া প্রতিজ্ঞা
করিলেন, “আর কখনো এই রূপ সর্ব নাশিনী সুরাকে স্পর্শ করিব না, কারণ সুরা পানে আসক্ত
থাকিলে আমার জীবনের সর্ব নাশ হইবে এবং আমি কখনো অহত্ত্ব লাভ করিতে পারিব না। ”
এই ভাবে নেশা মানব জীবনকে
ধ্বংস করে ও অপায়ে নিক্ষেপ করে। সুতরাং এই
রূপ সর্ব নাশিনী সুরা পান করা কাহরও উচিত নহে। নেশা পানের চারি অঙ্গ সুরাদির মধ্যে গণনীয় বস্তু হওয়া (নেশার বস্তু),
পান করিবার চেতনা, পানের চেষ্টা এবং সেই চেষ্টায় পান করা এই চারি অঙ্গ পরি পূর্ণ থাকিলে নেশা পানের পাপ
সম্পাদিত হয়। সুরা পান না করিবার সুফল অতীত, অনাগত ও বর্ত মান করণীয় কর্মে সুদক্ষতা
লাভ হয়, পাগল বা উন্মাদ হন না, স্মৃতি মান ও প্রজ্ঞাবন হন, উদ্যেগী হন এবং নিরলস ও
জড়তা হীন হন।
অপ্রমত্ত, নির্ভীক, ঈর্ষা বিহীন, সত্য বাদী, অপৈশুন্য, কৃতজ্ঞ, অকৃপণ, অক্রোধী, শীলবান, সরল ও ক্ষমা মীল প্রভৃতি গুণে গুণান্বিত হন। তদ্ব্যতীত অকপট, জ্ঞানী, মেধাবী, পণ্ডিত, ভালো মন্দ বোধজ্ঞ ও সকলের আনন্দ দায়ক হন এবং লজ্জা ও ভয় শীল প্রভৃতি গুণ তাঁহাদের নিকট বিদ্য মান থাকে। তাঁহারা শোক পরিদেবন দুঃখ ভোগ করেন না এবং সম্যক দৃষ্টি পরায়ণ হইয়া থাকেন। নেশা পান করা কর্ম ফল সমাপ্ত।